Relationship Between Industry and Academia for The Growth of Private Security Service in Bangladesh

অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী 'Relationship between industry and academia for the growth of private security service in Bangladesh’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম, রেক্টর, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন  লে: কর্নেল খালিদ আজম, পিএসসি (অব:), সভাপতি, বাংলাদেশ প্রবেশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রোপাইটরস এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএসপিএ)। সভাপতিত্ব করেন এস. এম. আক্তারুজ্জামান, এসডিএস, পিএসসি। সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যথাক্রমে-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আজিজ, পিএসসি (অব:) (Growth of private security service in Bangladesh and it’s future), জনাব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (Importance of Academia and industrial collaboration), জনাব মো: গোলাম রসুল (Role of Police Staff College for creation of knowledge of private security service in Bangladesh)। সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন, প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, করপোরেট হাউজ, ব্যাংক, বীমা ও বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এবং এনজিওসমূহের প্রতিনিধি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজের অনুষদ সদস্যগণ। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, জনাব মাঈনুর রহমান, জনাব রেজা আহমেদ চৌধুরী, মো: হাতেম প্রমুখ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেক্টর বলেন, সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যগণ এগিয়ে এলে কাঙ্খিত স্মার্ট সোসাইটির আলোকে স্মার্ট পুলিশ গঠন করা সম্ভব এবং স্মার্ট পুলিশিং সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পেশাদার নিরাপত্তা সংস্থাসমূহ ও সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সিকিউরিটি সার্ভিস সংস্থাগুলো এগিয়ে এলে কলেজের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিগুলো খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে এ সেক্টরে দক্ষ জনবলের একান্ত প্রয়োজন। পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ লক্ষ্যে অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাইভেট সিসিউরিটি এবং পুলিশ একই লক্ষ্যে তথা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। পারস্পরিক সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে সেতু বন্ধনের ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল হিসেবে প্রাইভেট সিকিউরিটি সংস্থার কর্মীদের গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন এ সেক্টরে জনবলের ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠির জন্য দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দুই সেমিস্টার, ৪০ ক্রেডিট সমৃদ্ধ এ কোর্সটি বাস্তবায়নে এ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লে: কর্নেল খালিদ আজম বলেন (অব:) বলেন, এটি সময় উপযোগী একটি সেমিনার। এ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নতির স্বার্থে একাডেমি/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি-এর সমন্বয় প্রয়োজন। প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এ সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট এর উপর একটি পিজিডি কোর্স চালু করতে যাচ্ছে, যা দক্ষ জনশক্তি তৈরীর ক্ষেত্রে কলেজের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের সাথে পরবর্তীতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষণায় সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস প্রদান করেন।

জনাব মোহাম্মদ হাতেম, এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট BKMEA বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন যে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদেরকে বিদেশীদের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। এ কোর্স সে ধরণের নির্ভরতা হ্রাস করতে সক্ষম হবে। এ কোর্সের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে এবং বিদেশী নির্ভরশীলতা কমবে, একই সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

Posted in News on Feb 13, 2024